Reverse Engeneering...
.
অনেক সময়ই নামটা শুনছেন। সত্যি বলতে আমাদের(টেক লাভারদের) অনলাইনে বিচরন খুবই সহজ হয়েছে Reverse Engeneering এর জন্য। Reverse Engeneering হলো যত হ্যাকিং আছে এর মধ্যে অন্যতম। আমরা তো সাধারনত হ্যাকিং বলতেই বুঝি Website hack,deface, wifo hack,id hack ব্লা ব্লা। কিন্তু Reverse engeneering হল প্রধান হ্যাকগুলোর মাঝে একটা।

★হ্যাকিং-এ Reverse Engeneering কি?

Reverse অর্থ বিপরীত, উল্টো। কোনো Software বা কোনো কিছুই বিপরীত ভাবে সেটার Engeneering করাই Reverse engeneering..
এক কথায় বলতে গেলে কোনো Software এর সোর্স কোড Extract করে সেটা Modifiy করে, new features add অথবা License key bypass ইত্যাদি করে, Source code study করে Rebuild করে।

★কিভাবে এটা এত জরুরী?

আমরা যে সকল Cracked Software use করি সবই Reverse Engeneering এর দয়াতে। Software গুলোকে RE করে License key bypass করে patch করা হয়। আর একেই আমরা চিনি Cracked/mod/hacked/nulled etc নামে।
RE করে malware analysis করা হয়, RE খুবই Powerful tool, হ্যাকাররা এটার মাধ্যমে যেকোনো security system compromise করতে পারে। আরো অনেক কিছুই করা হয়।

Photoshop, idm,filmora, Microsoft office,adobe etc নামি দামি Software গুলো কে না চিনে। এগুলো Cracked বানানো হয়ছে Reverse Engeneering করেই।

আর যে কেওই এটা করতে পারে না,এটা lucky patcher এর মতো এত সহজ না যে ক্লিক করবেন আর Mod apk ready.।
RE এর জন্য অবশ্যই আপনার ব্রেইন ভালো হতে হবে। Code বুঝতে পারে এমন হওয়া লাগবে। আপনাকে কেও সহজে এটা গিলিয়ে দিবে না। আপনার নিজের ব্রেইন ব্যাবহার করেই শিখা লাগবে। বড়জোর কিছু ক্লু পাবেন আপনি। কয়েকটা software cracked করা হয়ছে Reverse engeneering করে এমন ভিডিও পাবেন ইত্যাদি এসব দেখেই আপনার আইডিয়া নেওয়া লাগবে।

★হ্যাকারের ফায়দা কি এটা করে?

মনে করুন কেও photoshop Crack করলো দিন রাত খেটে Reverse engeneering করে। এখন সে কেনো এটা আপনাকে ফ্রিতে দিয়ে দিবে ব্যাবহারের জন্য??
দিবে না,,, সে নিজের স্বার্থের জন্য আপনাকে দিবে। অবশ্য অনেকেই ফ্রিতেই দেয়। কারন celebrity হতে চায়,Views চায়,কত কি। Publicity এর জন্যও ফ্রিতে দেয়।
অনেকেইআবার ভিতরে Malware code bind করে দিবে। হতে পারে সেটা Rensomware, Botnet,miner, rat ইত্যাদি।

এগুলোতে Botnet সবচাইতে বেশি binded থাকে। কারন কেও সহজে বুঝতে পারে না without analysis. আর botnet এর অনেক Features থাকে। অন্যতম হলো Ddos attack,password recovery etc
ওই ব্যাপারে অন্য কোনো একদিন বলবো।

★কিভাবে করে RE?

Reverse engeneering অনেক কিছুর জন্যই অনেক ভাবে করা হয়ে থাকে, Android phone এর app গুলো Mod
করা হয় RE এর মাধ্যমেই। Android app RE করতে চাইলে আপনাকে JAVA expart হতে হবে। code decompile করে RE করে আবার Recompile করে দিলেই হবে।

আর Computer এর software গুলোর জন্য কিছু debugging টুল আছে, dbg32,64, ollydbg,hex tool,resource tuner etc. অনেক টুল আছে অনেক কাজের জন্যই। এগুলো দিয়ে software এর Source code extract করে সেটাকে study করে। নতুন কিছু এড করার ট্রাই করে,,

Antivirus গুলো Virus detect করে reverse engeneering করেই। ভাইরাসটাকে RE করে স্টাডি করে,তারপর সেটাকে কিভাবে রিমুভ করা যাবে সেটা program তৈরী করে।

★Software Crack কিভাবে করে?

ছোট একটা উদাহরন দিতাছি,
মনে করুন আপনি ময়মনসিংহ থেকে ঢাকা যাবেন।
আপনার কাছে Driving license নাই। কিভাবে যাবেন তাহলে?
অবশ্যই পুলিশ দেখলে দৌড়াবেন, বা এড়িয়ে অন্য ভাবে চলে যাবেন। ঢাকা যাওয়া হলো কথা।
Reverse engeneering টাও এমন।
Software টার License key কোথায় কোথায় চাওয়া হচ্ছে সেটা আগে দেখা লাগবে। তারপর সেই যায়গাটা jump করে দিতে হবে। বুঝাতে হবে যে এখানে key চাওয়া হচ্ছে না।
আর key চাইবেনা,,, চাইলে সেটা software এর একদম ভিতরে চাইবে,,কিন্তু আপনাকে show করবে না। কারন আপনি jump করে দিছেন। তাই চাইলেও সেটা আপনার কাছে আর চাইবেনা। তারপর Reminder এর ব্যাপার। আপনি দেখবেন যে কিছুক্ষন পর পর key চায়,, রিমাইন্ডার দেয়। এর জন্য আপনাকে Reverse engeneering করে Reminder এর যেই Option সেটা রিমুভ করতে হবে।

এসব Code change যখন করা হয় সেটা Original Software থেকে অনেকটাই Change হয়ে যায়। যখন সেটা Internet data on করে install দেওয়া হয় তখনই Cracked file ta original Repository এর সাথে কানেক্ট করার ট্রাই করে। তখনই বুঝতে পারে কোডিং এ গড়মিল করা হইছে। আর তখনই সেটা Firewal block করে। এবং antivirus এ ফাইলটাকে Virus হিসেবে ডিটেক্ট করে।

আর এগুলো লিখে শিখানো সম্ভব না,,অবশ্যই ভিডিও এর মাধমে শিখতে হবে আপনাকে। Brain use করে শিখতে হবে।

আর অবশ্যই Cracked file Download দেওয়ার আগে Malware analysis করে নিবেন। নয়ত আপনার শখের পিসির ডাটা চুরি হতে থাকবে আর আপনি বুঝতেও পারবেন না।

USB spread Enabled থাকে বর্তমান Virus গুলোতে।
Pc তে যদি ভাইরাস থাকে,আপনি USB ডুকাইলে সেটাতেও ডুকে যাবে। তারপর সেই USB অন্য পিসিতে ডুকাইলে ছড়িয়ে যাবে ধীরে ধীরে। এক Device থেকে অন্য Device ছড়াতেই থাকবে।

তাই যে কোনো আজাইরা USB ডুকানো থেকে বিরত থাকুন। যদি আপনি Linux user হয়ে থাকেন তাহলে Congratulations. আপনার এসবের ভাইরাস টাইরাস নিয়ে চিন্তা নেই। Usb হাজারটা ডুকাইলেও সমস্যা নাই। High security linux এ। আর যারা Malware বানায় তারা windows target করে বানায়।
আর সেগুলো Cracked file গুলোতে bind করে ছড়িয়ে দেয় নানাভাবে।


লেখক - চার্লি 
নবীনতর পূর্বতন