Distributed Denial-of-Service(DDoS)

আপনারা অনেকেই হইত DDoS নামটা শুনেছেন। অনেকেই হইত বুজতে পারেন নি। তাদের জন্যই আমার আজকের পোষ্ট। চেষ্টা করেছি একটু সহজভাবে উপস্থাপন করার। যাতে আপনারা সহজই DDoS সম্পর্কে বুজতে পারেন!!!
***DDoS বা Distributed Denial-of-Service Attack কি?
ডেনাইয়াল অফ সার্ভিস অ্যাটাক বা সেবা বাধাদানের আক্রমণ হলো কোনো কম্পিউটার সিস্টেমের কোনো রিসোর্স বা সেবার প্রকৃত ব্যবহারকারীদের বাধা দেয়ার একটি কৌশল। কোনো কম্পিউটার বা সিস্টেম বা ইন্টারনেট ওয়েবসাইটে এই আক্রমণ চালানোর মাধ্যমে ঐ সিস্টেম বা সাইটের যথাযথ কার্যক্রমকে ধীর গতির, বা অনেক ক্ষেত্রে পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়া হয়।(উইকিপিডিয়া)
আচ্ছা, একটা উদাহরণ দেওয়া যাক। মনে করেন আপনি একটা রুমে বসে আছেন। সেখানের ধারণ ক্ষমতা সর্বোচ্চ ৪০ জন। সেই রুমে ২০ জন এলো আপনার সাথে দেখা করার জন্য। এখন একটু চিপাচিপি করে সকলকে বসতে হচ্ছে। সেই রুমে আরো ৩০ জন এলো আপনার সাথে দেখা করার জন্য। এবার ঘড়ের সর্বোচ্চ ধারণ ক্ষমতার চেয়েও বেশি লোকের উপস্থিতির কারণে বাকি ১০ জন ঘড় থেকে বাইরে থাকতে বাধ্য সর্বোচ্চ যায়গা পূর্ণ হয়ে যাওয়ার কারণে। আর এভাবেই কাজ করে DDoS। মূলত শত্রুতার কারণেই হ্যাকাররা কিছু কম Secure ওয়েবসাইটকে কিছু সময়ের জন্য down করে ফেলার জন্য এরূপ করে থাকা। কিছু সফটওয়ারের মাধ্যমে এরূপটি করা হয়। একটা ওয়েবসাইট যদি সর্বোচ্চ ৫০০ জন থেকে ১০০০ জন লোককে একসাথে Visit করার সুযোগ করে দিতে পারে। অর্থাৎ যখন ১০০০ জন Limit থাকে তখন এর বেশি লোক Visit করলে ওয়েবসাইটের উপর Pressure পড়ায় তা Down হয়ে যায়। কিছু সফটওয়ারের মাধ্যমে এটি করা যায়। এই সফটওয়ারের একটি হল High Orbit Ion Cannon(Hoic)। এর দ্বারা আপনি সহজেই একটি ওয়েবসাইটকে down করে ফেলতে পারবেন। এই সফটওয়্যার কাঙ্ক্ষিত ওয়েবসাইটে Limit-এর উপরে Virtual Visitor পাঠাবে এবং ওয়েবসাইটের উপর Pressure দিয়ে Down করে ফেলবে এবং যারা Original Visitor তারা ওই রুমের ১০ জনের মতো ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে পারবে না।। এভাবেই মূলত DDoS কাজ করে। কিন্তু বড় বড় ওয়েবসাইট like Facebook and Youtube এগুলো অত্যন্ত Secure। বিধায় এসব ওয়েবসাইট Down করে ফেলা মোটেও সহজ বিষয় নয়। এটি মূলত হ্যাকিং-এর একটি Chapter।
নবীনতর পূর্বতন