ডিডস্ (DDOS) শব্দটার সাখে সবাই পরিচিত । কোন না  সাইট কে অচল করার এটি একটি জনপ্রিয় পদ্ধতি । এটি বিভিন্ন রকমের হয় । এককথায় ডিডস্ হলো এমন একটা প্রসেস যেখানে কোনো সিস্টেম কে একাধিক রিকোয়েস্ট বা নির্দেশ প্রেরণ করে সিস্টেমের কার্যক্রম কে বন্ধ করে দেওয়া হয় ।

ডিডস্ (DDOS) কি কাজে লাগে ?
১. সাইট কিনবা সার্ভার ডাউন করতে ।
২. যেকোনো পিসি কিনবা ইন্টারনেট বেসড্ মেশিন এর কার্যক্রম কে ব্যাহত করতে ।

এর সুবিধা এবং অসুবিধা গুলো নিচে দেওয়া হলো:

সুবিধা :

১. অল্প সময়ে সাইটকে ডাউন করে দেওয়া যায় ।
২.কোনো অতিরিক্ত জ্ঞানের প্রয়োজন নেই যে কেউই এটা করতে পারবেন ।
৩.এটা করার জন্য পিসির সামনে বসে থাকা লাগে না শুধু চালু করে রাখলেই হয় স্বয়ংক্রিয় ভাবে কাজ করে ।

অসুবিধা :

১. নিজের পিসির হার্ডওয়্যারে চাপ পরে ফলে নষ্ট হবার সম্ভাবনা থাকে ।
২. হাই স্পিড নেট কানেকশন লাগে ।
৩. সব সাইট ডাউন হয় না ।

এছাড়াও ডিডস্ (DDOS) এর আরো অনেক সুবিধা ও অসুবিধা আছে ।

প্রকারভেদ:
১. DOS: এ পদ্ধতিতে শুধু সিঙ্গেল ইউজার সিঙ্গেল পিসি থেকে অ্যাটাক করে ।
২. DDOS: এ পদ্ধতিতে একাধিক ইউজার একাধিক পিসি থেকে অ্যাটাক করা যায়, সাধারনত বটনেট ব্যবহার করে এ ধরনের অ্যাটাক চালানো হয় । 

ডিডস্ (DDOS) করে লাভ কি ?
এটি বিভিন্ন কাজে ব্যবহূত হয় । এর ব্যবহার নির্ভর করে ব্যবহারকারীর নিজের উপর । তাই লাভ ক্ষতিও তার উপর নির্ভর করে । সাইবার হামলার অন্যতম হাতিয়ার এই ডিডস্ । এটি সাইট এবং সার্ভার কে অচল করে দেয় ফলে সকল রকম যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয় যায় । যেমন কোনো স্টক একচেন্জ এর সার্ভার কিনবা ফরেক্স ট্রেডিং এর সার্ভার কিনবা অনলাইন ব্যাংক এর সার্ভার যদি সারাদিন বন্ধ থাকে তবে কি পরিমান ক্ষতি হতে পারে এটা আশা করি আপনারা বুঝতে পারছেন । এছাড়াও সার্ভার এর পিসি এর যন্ত্রাংশের অনেক দাম থাকে সুতরাং কোনো কোনো সার্ভার ডিডস্ করলে নষ্ট হয় যায় সে ক্ষেত্রে অনেক টাকা নষ্ট হয় ।

ডিডস্ ( DDOS ) করার পদ্ধতি :
SYN flood
Teardrop attacks
Peer-to-peer attacks
Permanent denial-of-service attacks
Application-level floods
Nuke
HTTP POST DDOS attack
Slow Read attack
R-U-Dead-Yet? (RUDY)
Distributed attack
Reflected / spoofed attack
UDP-based Amplification Attacks
Telephony denial-of-service (TDoS)
Advanced Persistent DoS (APDoS)
DNS amplification attack 

 ডিডস্ থেকে বাঁচার উপায় :

সাধারন অ্যাটাক প্রতিরোধ করতে ফায়ারওয়াল ই যথেষ্ট তবে বড় অ্যাটাক প্রতিরোধ করতে হলে
Clean pipes কিনবা  Blackholing and sinkholing পদ্ধতি বেশ কার্যকর ।

ডিডস করার কি অপরাধ ?
অবশ্যই এটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ । ব্রিটিশ আইনে ডিডস্ করলে ১০ বছরের জেল দেওয়ার বিধান আছে ।

  
 ডিডস্ এর উপকারীতা ?
১. খারাপ এবং অসামাজিক সাইট বন্ধ করতে এটি ব্যবহার করা যায়
২. ধর্মবিরোধী সাইট অচল করতে কিনবা প্রতারক চক্রের সাইট বন্ধ করতে এটি ব্যবহার করা যায় ।
নবীনতর পূর্বতন